ঢাকা,বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

২০১৭-১৮ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট পাস

bazetবাংলাট্রিবিউন:
২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য ৪ লাখ ২শ’ ৬৬ কোটি টাকার বাজেট পাস করা হয়েছে। একই সঙ্গে নতুন ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য সংযুক্ত তহবিল থেকে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ২১৪ কোটি ১৫ লাখ ৯২ হাজার টাকার নির্দিষ্টকরণ বিল পাস করা হয়। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনের শুরুতেই মঞ্জুরি দাবিতে আলোচনা করার কথা জানান। বিরোধী দল ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা এসব দাবিতে আলোচনা করেন।

পাস হওয়া বাজেটে মোট রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮৭ হাজার ৯৯১ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪৮ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। চলতি বাজেটে এনবিআরের টার্গেট ধরা হয়েছিল ২ লাখ ৩ হাজার ১৫২ কোটি টাকা। এ ছাড়া এনবিআর-বহির্ভূত খাত থেকে কর রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৬২২ কোটি টাকা। করবহির্ভূত খাত থেকে রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৩১ হাজার ১৭৯ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। চলতি বাজেটে জিডিপির লক্ষ্য ছিল ৭ দশমিক ২ শতাংশ। পরিকল্পনা কমিশন ইতিমধ্যে আভাস দিয়েছে চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছর শেষে ৭ দশমিক ২৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন হবে। আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যামাত্রা ৭ দশমিক ৪ শতাংশ, যা বিগত চার দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এ ছাড়া বাজেটে মূল্যস্ফীতির চাপকে ৫ দশিমক ৫ শতাংশে ধরে রাখার ঘোষণা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
নতুন এই বাজেটে অনুন্নয়নমূলক ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৩৪ হাজার ২৬২ কোটি টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার ধরা হয়েছে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা। তবে স্বায়ত্ত্বশাসিত সংস্থাগুলোর অর্থায়নে আরও ১০ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। সে হিসেবে মোট এডিপির আকার ১ লাখ ৫৩ হাজার কোটি টাকা ধরা হয়েছে; যা জিডিপির ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। এই বাজেটে সার্বিক ঘাটতি ধরা হয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ২৭৬ কোটি টাকা। এ ঘাটতি অর্থায়নে বৈদেশিক উৎস থেকে ৫১ হাজার ৯২৪ কোটি এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ৬০ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা জোগান দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ২৮ হাজার ২০৩ কোটি, সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও অন্যান্য ব্যাংকবহির্ভূত উৎস থেকে ৩২ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা সংস্থানের ব্যবস্থা রেখেছেন অর্থমন্ত্রী।

এটি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের টানা নবম বাজেট। এর আগে তিনি এরশাদ সরকারের মন্ত্রী হিসেবে আরও দুটি বাজেট দিয়েছিলেন। ২৯ জুন বৃহস্পতিবার নির্ধারিত সময়ের আধাঘণ্টা পরে সকাল সাড়ে ১০ টায় জাতীয় সংসদে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়। এরপর বাজেটের ওপর আলোনায় বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যরা ৫৯টি ছাঁটাই প্রস্তাব এবং ৩২৫টি দাবি উত্থাপন করেন। এরমধ্যে আলোচনার জন্য ৭টি দাবি গৃহীত হয়। দুপুরে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা, উপনেতা সাজেদা চৌধুরী, চিফ হুইপ আসম ফিরোজ, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, জাতীয় পার্টি’র চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের উপস্থিতিতে জাতীয় বাজেট পাস করার জন্য অর্থমন্ত্রী তা উপস্থাপন করেন। পরে সংসদে কণ্ঠভোটে বাজেট পাস করা হয়। এ সময় সরকার দলীয় সংসদ্যরা টেবিল চাপড়ে অর্থমন্ত্রীকে সমর্থন ও স্বাগত জানান। আগামী ১ জুলাই থেকে নতুন এ বাজেট কার্যকর হবে।
নির্দিষ্টকরণ বিল পাস:
আগামী অর্থবছরের বাজেট ব্যয়ের বাইরে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ খাতের জন্য দাবি মিলিয়ে সংযুক্ত তহবিল থেকে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ২১৪ কোটি ১৫ লাখ ৯২ হাজার কোটি টাকার নির্দিষ্টকরণ বিল কণ্ঠভোটে পাস করা হয়।

উল্লেখ্য, হিসাব বিজ্ঞানের তথ্য অনুযায়ী, জাতীয় সংসদে গৃহীত নির্দিষ্টকরণ বিল হচ্ছে গ্রস বাজেট যা পুরোপুরি ব্যয় হয় না। দাতা সংস্থার বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী, কিছু ব্যয় বাজেট বরাদ্দে দেখাতে হয়, যা পরে আয় দেখিয়ে ভারসাম্য রক্ষা করা হয়। অনুমোদিত ব্যয়ের মধ্যে প্রকৃত বাজেট হলো ৪ লাখ ২শ’ ৬৬ কোটি টাকা।
মঞ্জুরি দাবি ও ছাঁটাই প্রস্তাব:
আগামী অর্থবছরের বাজেটের ওপর সংসদে উত্থাপিত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ খাতের ৩২৫টি মঞ্জুরি দাবির বিপরীতে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা ৫৯টি ছাঁটাই প্রস্তাব আনেন। এরমধ্যে ৭টি দাবি আলোচনার জন্য গৃহীত হয়। এবং বাকি ছাঁটাই প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। বাজেট পাস হওয়ার পর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত স্পিকারের অনুমতি নিয়ে দাঁড়িয়ে সংসদ সদস্যদের সবাইকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু কনভেনশন সেন্টারের বাজেটোত্তর নৈশভোজে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানান।
খাতওয়ারি বরাদ্দ: সংযুক্ত বিল ৫ লাখ ৩৫ হাজার ২১৪ কোটি ১৫ লাখ ৯২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যয় ধরা হয় অর্থ বিভাগে। ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্য বছরের এ বিভাগের উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬ হাজার ৫৩০ কোটি ৮৬ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। যা বরাদ্দের জন্য রাষ্ট্রপতিকে ক্ষমতা দিয়েছে জাতীয় সংসদ। ব্যয়ের দিক থেকে সবচেয়ে কম হচ্ছে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে। এ খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। অনুমোদিত ব্যয় পর্যায়ক্রমে হচ্ছে প্রতিরক্ষায় ২৫ হাজার ৭৪০ কোটি ৭৫ লাখ ৮ হাজার টাকা এবং স্থানীয় সরকার বিভাগে ২৪ হাজার ৬৭৪ কোটি ১১ লাখ টাকা। অন্য খাতের ব্যয়ের মধ্যে জাতীয় সংসদ খাতে ৩১৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় খাতে ১ হাজার ৪৫৭ কোটি ৬৩ লাখ ৮৪ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে ৯৫ কোটি ৫ লাখ টাকা, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে ১ হাজার ৭০ কোটি ৮০ লাখ টাকা, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ২ হাজার ৪৮ কোটি ৪১ লাখ টাকা, সরকারি কর্ম কমিশন খাতে ৭৪ কোটি ২২ লাখ টাকা। অর্থ বিভাগ মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক কার্যালয় খাতে ১৯৬ কোটি ৫ লাখ টাকা, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে ২ হাজার ২০৬ কোটি ৩ লাখ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে ২ হাজার ৫৪০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ খাতে ১০ হাজার ৯৮১ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।
পাশাপাশি পরিকল্পনা বিভাগে ১ হাজার ৩৩২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা, বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগে ১০০ কোটি ৫৩ লাখ টাকা, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে ৫১৮ কোটি ৭ লাখ টাকা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ৬১১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ১ হাজার ১৮৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে ৩০ কোটি ৪১ লাখ টাকা, আইন ও বিচার বিভাগ ১ হাজার ৪২৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকা ধরা হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ ১৮ হাজার ২৮৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগে ২১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ২২ হাজার ২৩ কোটি ২৮ লাখ ১৯ হাজার টাকা, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে ২৩ হাজার ১৪৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় খাতে ১১ হাজার ৩৮ কোটি ১৩ লাখ টাকা ব্যয়ের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে স্বাস্থ্য সেবা খাতে ১৬ হাজার ২০৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে ৩ হাজার ৯৭৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকা, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে ৪ হাজার ৮৩৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে ২ হাজার ৫৭৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকা, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় খাতে ২৬২ কোটি ৮৭ লাখ টাকা, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় খাতে ৩ হাজার ৭৩৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, তথ্য মন্ত্রণালয় খাতে ১ হাজার ১৪৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকা, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৪১৭ কোটি ৭৭ হাজার টাকা।
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৬৫৮ কোটি ৯২ লাখ টাকা, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় খাতে ১ হাজার ৩৮৭ কোটি ১৫ লাখ টাকা, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগে ১ হাজার ৮৮৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা, শিল্প মন্ত্রণালয়ে ১ হাজার ৮২৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে ৮৯৫ কোটি ২৮ লাখ টাকা, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগে ২ হাজার ২২৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকা, কৃষি মন্ত্রণালয়ে ১৩ হাজার ৬০৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় খাতে ১ হাজার ৯২৯ কোটি ৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় খাতে ১ হাজার ১২০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা, ভূমি মন্ত্রণালয় খাতে ১ হাজার ৮৫৮ কোটি ৫৪ লাখ ৫৪ হাজার টাকা, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে ৫ হাজার ৯২৬ কোটি ৪৪ লাখ টাকা, খাদ্য মন্ত্রণালয়ে ১৪ হাজার ৪০২ কোটি ৯ লাখ ৮১ হাজার টাকা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৮ হাজার ৮৫৩ কোটি ১২ লাখ ৭৮ হাজার টাকা।
এছাড়া সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে ১৯ হাজার ৬৯৭ কোটি ২১ লাখ টাকা, রেলপথ মন্ত্রণালয়ে ১৬ হাজার ১৩৫ কোটি ৯ লাখ টাকা, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে ২ হাজার ৭৩২ কোটি টাকা, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে ৬৮৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে ২ হাজার ৫২২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে ১ হাজার ১৫০ কোটি ১৮ লাখ ৬১ হাজার টাকা, বিদ্যুৎ বিভাগ ১৮ হাজার ৮৯৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা, সুপ্রিমকোর্ট ১৬৫ কোটি ১৬ লাখ টাকা, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে ৩ হাজার ৯৮৬ কোটি ৩৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকা, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে ৬৮৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকা, দুর্নীতি দমন কমিশন খাতে ১০১ কোটি ৭১ লাখ টাকা ও সেতু বিভাগে ৮ হাজার ৪২৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকা, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগে ৫ হাজার ২৭০ কোটি ৯৩ লাখ টাকা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা খাত ২ হাজার ৮৮২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ খাতে বরাদ্দ ৪ হাজার ৪৭৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।
এর আগে বুধবার সংসদে অর্থবিল-২০১৭ পাস হয়। যে বিলে করসংক্রান্ত বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যার মধ্যে ১ জুলাই থেকে নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর করার প্রস্তাব আরও দুই বছরের জন্য স্থগিত করেছেন অর্থমন্ত্রী। একই সঙ্গে ব্যাংক আমানতের ওপর প্রস্তাবিত আবগারি শুল্কের হারও পুনর্নিারণ করেছেন অর্থমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে তিনি এ দুটি প্রস্তাব পুনর্বিবেচনা করেছেন বলে সংসদকে জানিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী। পুনর্বিন্যাস করা আবগারি শুল্ক হার হচ্ছে এক লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যাংক আমানতের ওপর এ শুল্ক পরোপুরি মওকুফ করা হয়েছে। এক লাখ এক টাকা থেকে ৫ লাখ টাকার জন্য আবগারি শুল্কহার হবে ১৫০ টাকা। ৫ লাখ ১ টাকা থেকে ১০ লাখ টাকার জন্য আবগারী শুল্ক হবে ৫শ টাকা। ১০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা ব্যাংক আমানতের ওপর আবগারি শুল্ক হবে ২ হাজার ৫শ টাকা। এক কোটি থেকে ৫ কোটি টাকা ব্যাংক আমানতের ওপর আবগারি শুল্ক হবে ১২ হাজার টাকা। আর ৫ কোটি টাকার ওপরে ব্যাংক আমানতের আবগারি শুল্ক হবে ২৫ হাজার টাকা।

পাঠকের মতামত: